Planning Exercise




পরদিন পরিবহন ধর্মঘট হওয়ার কারণে রাতের বেলায়ই বাসে তোমরা কয়েক বন্ধু বিএমএ-তে যোগ দেবার জন্য রওয়ানা হলে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ চিৎকারে ঘুম ভেঙে তুমি দেখলে কয়েক জন অস্ত্রধারী ডাকাত বাসে ডাকাতি করে পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে পড়েছে। তোমাদের পাশেই দেখতে পেলে একজন আনসার মারা গেছে এবং অন্যজন মারাত্মকভাবে আহত। তোমাদের বাসে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আছে সে বিএনসিসি-র সদস্য এবং বাসের ছাদে তার একটি সাইকেল রয়েছে। ড্রাইভারকে বাস চালাতে বললে সে জানাল যে, বাসে তেল নেই। তোমরা দুষ্কৃতিকারীদের সাথে ড্রাইভার ও হেলপারের ষড়যন্ত্রের কথা বুঝতে পারলে। ঘটনাটি ঘটে হেমায়েতপুর এবং শিকারপুর থানার নিকটবর্তী মণ্ডল বাড়ির কাছে। মণ্ডল বাড়িতে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা রয়েছে, তখন রাত ২টা। আজ রাতে হেমায়েতপুরে এক মন্ত্রী এসেছেন এবং তোমরা জানতে পারলে যে একদল সন্ত্রাসী মন্ত্রীকে মেরে ফেলার জন্য হামলা করবে এবং ডাকাতি করবে। ঘটনাস্থলের ৪ মাইল দক্ষিণে একটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আছে, যেখানে রাত ১২টার পর সাধারণত অপারেটর থাকে না। ১২ মাইল পশ্চিমে হেমায়েতপুর থানা, ৭ মাইল পূর্বদিকে শিকারপুর থানা। এখন তোমরা কী করতে পার? 

সমস্যাবলি :

১. মারাত্মক আহত আনসারকে হাসপাতালে প্রেরণ।

২. মন্ত্রীর জীবন রক্ষা।

৩. ডাকাতদের ধরে পুলিশে সোর্পদ করা এবং একই সাথে বাসের ড্রাইভার ও হেলপারকে পুলিশে দেওয়া।

৪. ডাকাতদের ধরে লুট করা জিনিসপত্র উদ্ধার।

৫. নিহত আনসারকে থানায় সোপর্দ এবং গন্তব্যে পৌছার ব্যবস্থা।

সমাধান:

১. প্রসিদ্ধ মণ্ডল বাড়িতে ফোন থাকা স্বাভাবিক। সেখান থেকে থানা, হেমায়েতপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোন করে ঘটনাবলি অবহিত করব এবং একই সাথে মন্ত্রীর বাড়িতে ফোন করে মন্ত্রীর জীবননাশের পরিকল্পনার কথা জানাব।

২. বন্ধুদের একটি গ্রুপ হাইওয়ের কোনো গাড়িতে করে মারাত্মক আহত আনসারকে হাসপাতালে পাঠাবে।

৩. হেমায়েতপুর থানার পুলিশের সহায়তায় আমরা ডাকাতদের ধরে ফেলব এবং লুট হয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করব।

৪. নিরাপত্তা রক্ষীরা মন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে এবং আমরা গন্তব্যে রওয়ানা হব এবং মৃত আনসারকে পার্শ্ববর্তী থানায় সোপর্দ করব।