কালীগঞ্জ হতে ৬০ মাইল দূরে নীলগঞ্জ ও টালিগঞ্জ পাশাপাশি দুটি গ্রাম। নীলগঞ্জের পাশেই একটি কলাবাগান। তাতে সাপের ভয়। কালীগঞ্জের সাথে নীলগঞ্জ ও টালিগঞ্জ একটি হাইওয়ে দ্বারা সংযুক্ত। তোমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে অর্ণবের গ্রামের বাড়ি নীলগঞ্জে বেড়াতে গেলে। তোমরা মাইক্রোবাসে সেখানে পৌঁছে রাত ৮টায় গিয়ে শুনলে অর্ণবের বিশ্ববিদ্যালয়গামী বড় বোন সকালে বান্ধবীর বাসায় যাবে বলে বেরিয়েছে, কিন্তু এখনও ফেরেনি। অর্ণবের মা টেলিফোনে ঐ বান্ধবীর বাসায় খবর নিয়ে জেনেছে যে, সে বান্ধবীর বাসায় যায়নি। এদিকে অর্ণবের বাবা-মা পারিবারিক মর্যাদার কথা ভেবে পুলিশের শরণাপন্ন হতে রাজি নন। অর্ণবের চাচাত ভাইয়ের বন্ধুর পরিচয়ে আসিফ নামে একজন সকালে টেলিফোন করে জানিয়েছে যে অর্ণবের চাচা খুব অসুস্থ। দুজন ডাক্তার তাঁর চিকিৎসা করছেন। এমন সময় আসিফ এসে জানাল অর্ণবের চাচা মারা গেছেন এবং ঐ এলাকার সব টেলিফোন সকাল থেকে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন থাকায় সে নিজেই খবর দিতে চলে এসেছে। রাত দশটার দিকে সব সমস্যা সমাধানের জন্য তোমরা টালিগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা হলে। পথিমধ্যেই দেখলে একটি কালভার্ট ভেঙে গবাদিপশু বোঝাই একটি ট্রাক খালের পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
সমস্যাবলি:
১. অর্ণবের বোনকে খুঁজে বের করা।
২. ট্রাকের ড্রাইভারকে বাঁচানো ও গবাদিপশু রক্ষা।
৩. কালভার্ট নির্মাণ।
৪. ট্রাক উদ্ধার।
৫. অর্ণবের চাচার সৎকারের ব্যবস্থা করা।
সমাধান:
১. পুলিশ গোপনীয়তা রক্ষা করবে এ শর্তে তোমরা পুলিশকে ঘটনাটা অবহিত করবে এবং একই সাথে হাসপাতালে ফোন করে জানবে সেখানে সিট খালি আছে কি না?
২. যে বন্ধুরা ভালো সাঁতার জানে তাদের মধ্যে ২/৩ জন খালে নেমে ট্রাকের জানালা খোলার ব্যবস্থা করবে এবং ড্রাইভারকে উদ্ধার করবে। সেই সাথে গবাদি পশুগুলোর বাঁধন কেটে দিলে সেগুলো সাঁতরিয়ে তীরে চলে আসবে।
৩. আপাতত স'মিল থেকে কাঠ এবং ড্রাম নিয়ে কালভার্ট ঠিক করে তখনকার মতো কার্য সমাধা করবে।
৪. ফায়ার ব্রিগেড থাকলে ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দিবে নতুবা অন্য একটি চলন্ত ট্রাকের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে ডুবন্ত ট্রাকটাকে টেনে তুলবে।
৫. সব কাজ সমাধানের পর সবাই টালিগঞ্জে নিয়ে অর্ণবের চাচার সৎকার করে আসবে।