নিচের গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়। এরপর গল্পটির একটি নাম দিবে। গল্পটিতে কী কী সমস্যা আছে তা লিখবে এবং সেই সমস্যাগুলোর সমাধান দিবে। গল্পে নেই এমন কোনো কাল্পনিক বস্তুর সাহায্য গ্রহণ করা যাবে না।
গল্প: তুমি মঈনপুর বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাক। তোমার বাড়ি মল্লিকপুরে। হঠাৎ খবর পেলে বাড়িতে তোমার বাবা খুব অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্য যে ঔষধ প্রয়োজন তা মল্লিকপুরে নেই। কিন্তু মঈনপুরে পাওয়া যায়। তোমার বাবার রক্ত প্রয়োজন। তোমার ও তোমার বাবার রক্তের গ্রুপ একই। তুমি সিদ্ধান্ত নিলে তুমি মঈনপুর থেকে ঔষধ কিনে নিয়ে বাড়ি যাবে এবং বাবাকে রক্ত দিবে। এদিকে দুদিন পর তোমার ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। বাড়ি যাওয়ার জন্য রাতের শেষ বাসে করে রওয়ানা হলে। পথিমধ্যে তোমার গন্তব্যের বাসস্ট্যান্ড হতে ১ কি.মি. দূরে শালবনের কাছে তোমার বাস নষ্ট হয়ে গেল। বাস থেকে নেমে তুমি অল্প কিছুদূর গিয়েছ এমন সময় একটি ছোট ছেলে দৌড় দিয়ে শালবনের ভিতর থেকে আসা রাস্তা দিয়ে এসে তোমাকে বলল, তার নাম শাহেদ। ২ জন সশস্ত্র অপহরণকারী তাকেসহ ৮ জন ছেলেকে মাইক্রোবাসে করে শালনা থেকে ধরে এনে শালবনে লুকিয়ে রেখেছে। এই বলে সে জ্ঞান হারাল। এমন সময় তুমি দেখলে শালবন থেকে হেডলাইট জ্বালিয়ে একটি গাড়ি বের হয়ে আসছে। তুমি শাহেদের জ্ঞান ফিরাবে বলে তোমার ব্যাগ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বের করবে বলে ব্যাগে হাত দিয়ে দেখলে যে ব্যাগটিতে তালা মারা তা তোমার নয়। রাস্তায় কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। তবে বাসস্ট্যান্ডে রিকশা পাওয়া যায়। তুমি লক্ষ করে দেখলে যে, তোমার নষ্ট হওয়া বাসটি আর আগের জায়গায় নেই তা চলে গিয়েছে।
সমস্যাবলি:
১. ২ জন বন্দুকধারী শালনা থেকে ৮ জন ছেলেকে অপহরণ করে শালবনে এনে লুকিয়ে রেখেছে।
২. শাহেদ নামের ছেলেটি জ্ঞান হারিয়েছে।
৩. বাবা খুব অসুস্থ।
৪. ব্যাগ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।
৫. নষ্ট বাসটি পূর্বের স্থানে নেই।
সমাধান:
১. শালবন থেকে বের হয়ে আসা অপহরণকারীদের গাড়ির নাম্বার লিখে নেব যাতে তা পরবর্তীতে পুলিশকে জানাতে পারি।
২. পুকুর থেকে পানি নিয়ে শাহেদের জ্ঞান ফিরাব।
৩. শাহেদকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সেখান থেকে রিকশায় করে থানায় গিয়ে ৮ জন শিশু অপহরণের ঘটনা জানাব এবং অপহরণকারীদের গাড়িটির নাম্বার পুলিশকে দিব। পুলিশ অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে শিশুদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করবে। শাহেদ অসুস্থ হয়ে থাকলে তাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করব।
৪. বাসস্ট্যান্ডে এসে রাস্তায় নষ্ট হওয়া বাসটি খুঁজে বের করব এবং তা থেকে আমার ব্যাগটি খুঁজে নিব।
৫. বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশা নিয়ে বাড়ি যাব।
৬. বাড়ি গিয়ে বাবার ঔষধ, রক্ত দেয়া ও তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগের দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছে যাব এবং পরের দিন পরীক্ষায় অংশ নেব।