Group Discussion




সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য কি অবলিম্বে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা উচিত

"সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য কি অবলিম্বে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা উচিত
 
এই প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় দিক রয়েছে।
 ইতিবাচক দিক:
 ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলী, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করতে পারে।
 ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার্থীদের দেশ এবং সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন হতে এবং তাদের মতামত প্রকাশ করতে উৎসাহিত করতে পারে।
 ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিখতে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করতে পারে।
 ছাত্র রাজনীতি অনেক জায়গায় বন্ধ রয়েছে। ঢাকা শহরের নামিদামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নেই। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বলতে সেখানে কোনো ছাত্রলীগ নেই, ছাত্রদল কিংবা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেই সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে পারে। কিন্তু এর পরিণতি হবে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে জোড়ালো অবস্থান। আশির দশকে মাসের পর মাস বিশ্ববিদ্যালয় অনির্ধারিত বন্ধ থাকত। ক্যাম্পাসে গোলাগুলিসহ নানা প্রতিকূল অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি। ষাট এবং সত্তর দশকে রাজনীতিতে আদর্শিক একটি বিষয় ছিল। সে সময় গোটা বিশ্ব দুইভাবে বিভক্ত ছিল। একটি ধনবাদী সমাজ ব্যবস্থা। শোষণহীন সমাজ বিনির্মাণসহ নানা মতাদর্শ চর্চা হত। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর থেকে শুরু করে ইরানের ইসলামী বিপ্লব, আফগানিস্তানের তালেবান উত্থান-পতন, আলকায়দা, আইএস ইত্যাদি ছাড়া আদর্শভিত্তিক কোনো আলোচনা আর নেই। ছাত্র রাজনীতিকে উদ্বুদ্ধ করার মত কোনো আদর্শ আমাদের সামনে নেই।
 নেতিবাচক দিক:
 ছাত্র রাজনীতি সহিংসতা, অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক দলাদলির দিকে পরিচালিত করতে পারে।
 ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা থেকে বিরত রাখতে পারে এবং তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
 ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এবং তাদের স্বাধীন চিন্তাভাবনার ক্ষমতাকে সীমিত করতে পারে।রাজনৈতিক বিষয় থাকলেও ছাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সবার আগে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করা। কিন্তু আসলে তারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ক্ষমতার অপব্যবহারে ব্যস্ত থাকে।'সাধারণত শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক কর্মসূচী ও সমাবেশে যোগ দিতে আগ্রহী হয় না। কিন্তু, হলের সিট বাঁচাতে এবং বড় ভাইদের চোখে ভালো থাকতে তারা বাধ্য হয়।
 "