Group Discussion




Powered by Froala Editor

সরকারি ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশে পর্যটনের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে

Powered by Froala Editor

পক্ষে
 
 প্রথম সমস্যা হলো বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি, এটা দূর করা খুব জরুরি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে নিরাপদ ও শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠী হচ্ছে বাঙালি। এ দেশের মানুষের অতিথিপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার নেই। কিন্তু ভাবমূর্তি উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যে কাজগুলো করা দরকার, সেটা হচ্ছে না। ভাবমূর্তি উন্নয়নে যে ধরনের প্রচারণা, পরিকল্পনা ও অর্থ দরকার, সেটা সরকারই করতে পারে, বেসরকারি খাতের একার পক্ষে তা করা সম্ভব না।
 
  যাতায়াত, রেস্তোরাঁ, গাইডসহ এ খাতের কোনো জায়গাতেই পরিপূর্ণ লোকবল নেই। এদের জন্য প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। পর্যটন করপোরেশনের যে ইনস্টিটিউট আছে সেখান থেকে বছরে মাত্র ৩০০ লোক বের হয়, কিন্তু এ খাতে দরকার ৩০ হাজার লোকের
 
 একটা স্থানে কতজন লোক যেতে পারে, এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা বাংলাদেশে নেই। কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন দ্বীপসহ অনেক জায়গায় এসব সমস্যা দেখা যাচ্ছে। একটি জায়গার সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজগুলো সবাইকে উদ্যোগী হয়ে করতে হবে।
 
 দেশের প্রধান পর্যটনস্থল কক্সবাজারে ১ হাজার ২৫০ জন পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে মাত্র একজন পুলিশ। সন্ধ্যার পর এ এলাকায় নিরাপত্তা সংকট এখন অনিবার্য ইস্যু। দুনিয়ার দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের আগমন নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার দিকটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। 
 
 বিপক্ষে
 
 পর্যটন শিল্প বিকাশে অবারিত সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বিদেশী পর্যটকনির্ভরতা ছাড়াও দেশের পর্যটক নিরাপত্তা, যোগাযোগের সুবিধা, আকর্ষণীয় অফার দিলে মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেশ ঘুরে দেখতে চাইবে। এক হিসাবে বলা হয়, ১৬ কোটির বেশি মানুষ, গড়ে প্রতি বছর ১০ ভাগও যদি দেশ ঘুরে দেখে তাহলে বিশাল অংকের অর্থনৈতিক তত্পরতা সৃষ্টি হবে। 
 
 পর্যটনের বহু শাখা-প্রশাখার মধ্যে বিনোদন পর্যটন, শ্রান্তি বিনোদন পর্যটন, সাংস্কৃতিক পর্যটন, ইভেন্ট পর্যটন, সাংস্কৃতিকভিত্তিক পর্যটন, ক্রিয়া পর্যটন, নৌ-পর্যটন, হাওর পর্যটন, ধর্মভিত্তিক পর্যটন শিল্পকে গুরুত্ব দিতে হবে। এত সম্ভাবনা থাকার পরও আমরা পর্যটক আকর্ষণের মতো কোনো পন্থাই এখনো নির্ধারণ করে উঠতে পারছি না। একটু সচেতন হলেই পর্যটন ক্ষমতা বাড়িয়ে বিপুলসংখ্যক বিদেশী দর্শনার্থীকে দেশে আনতে পারি। আধুনিক জীবনের চাওয়া মাথায় রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আমাদের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সচেষ্ট হতে পারি।

Powered by Froala Editor

See More

Powered by Froala Editor

বর্তমানে সাংবাদিকরা নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে

Powered by Froala Editor

সাংবাদিকতা একটা পেশা এবং নিরপেক্ষতা এই পেশার একটি বিশেষ দিক। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকে। তাই বলে তিনি যদি সেটা জোর করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে যান, তর্কের খাতিরে তা ধরতব্যের মধ্যে আনা হলেও, তার স্থায়িত্ব বেশিদিন হবে না। কারণ, সাধারণ মানুষ যেমন বোকা নন, তেমনই মেশিন নন – যা বলা হবে, সেই দিকেই তাঁরা এগোবেন। আর এটাও মাথায় রাখা দরকার, সাধারণ মানুষের ভিন্ন মতাদর্শ আছে বলেই, তাঁরা নিজের পছন্দসই মতাদর্শের খবরকে গুরুত্ব দেন। এভাবেই বিভিন্ন সংবাদসংস্থা পরিচিত অর্জন করে, ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়।
 
 পক্ষে:
 ● জনপ্রিয়তা এবং আর্থিক উন্নতির জন্যে অনেক সাংবাদিক তাদের পেশাগত নিরপেক্ষতা হারাচ্ছেন।
 ● সামাজিক এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন যার কারণে তারা সফল ভাবে তাদের দায়িত্ব পালনে অপরাগ।
 ● সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জনতুষ্টিমুলক সাংবাদিকতার কারণে তারা যথার্থ ভাবে মত প্রকাশ করেন না।
 ● রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতার কারণে সাংবাদিকরা নিরপেক্ষ থাকতে ব্যর্থ হচ্ছে।
 ● মালিকানার প্রভাব, বিজ্ঞাপনদাতাদের চাপ এবং আর্থিক স্বার্থ সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
 ● নিজস্ব মতামত প্রকাশের চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা।
 ● সাংবাদিকদের ক্ষতিকর মনোভাবে প্রভাবিত করছে।
 ● সাংবাদিকতা এমন এক পেশা যেখানে সব দল ও মতের প্রতি সমান গুরুত্ব দিতে হয়। এমনকি চরম সন্ত্রাসী, জঙ্গি, সাম্প্রদায়িক শক্তিকেও গুরুত্ব দিতে হয় শুধু পেশাগত কারণে। তাদের বক্তব্য শুনতে হয়। অবিকৃতভাবে প্রকাশ বা প্রচার করতে হয়। মতামত দেওয়ার সময় সাংবাদিক তার মতামত স্বাধীনভাবে লিখতে পারেন। কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব থাকলে বা বিরাগ থাকলে বস্তুনিষ্ঠ বা সৎ সাংবাদিকতা করা সম্ভব হয় না। হয়তো সে জন্যই সাংবাদিকতার আন্তর্জাতিক পণ্ডিতরা অনেক আগেই বলে গেছেন : 'সাংবাদিকের বন্ধু থাকতে পারে না। ' যার অভাব বর্তমানে বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে।
 
 বিপক্ষে:
 
 ● সঠিক প্রশিক্ষণ এবং নৈতিকতার মাধ্যমে সাংবাদিকরা নিরপেক্ষ থাকতে পারেন।
 ● বিভিন্ন সংবাদ সংস্থায় কাজ করে চলা কর্মরত সাংবাদিকরা সেই সংস্থার কর্মচারী। সব সংস্থাই বিভিন্ন নীতি নিয়ে চলে আর কর্মচারীদের সেই নীতি মাফিক কাজ করতে হয়। কোনও সংবাদ মাধ্যমই প্রত্যক্ষভাবে কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শকে সমর্থন করেন না। পরোক্ষে তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে
 ● সংবাদমাধ্যমের মালিকানা সত্ত্বেও অনেক সাংবাদিক নিরপেক্ষ রিপোর্টিং করছেন।
 ● সমালোচনা সাংবাদিকদের আরও সতর্ক হওয়ার জন্য উৎসাহ যোগায়।
 ● নিরপেক্ষতা অর্জন কঠিন হলেও সৎ সাংবাদিকরা তার চেষ্টা করছেন।
 ● বিভিন্ন মতামতের বিচার সাংবাদিকদের দায়িত্ব নয় তাদের কাজ মতামতের উপস্থাপন করা।
 ● বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন সয়ে এবং অত্যন্ত স্বল্প আয়ের মাধ্যমে দেশের সাংবাদিকেরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। 
 সাংবাদিকরা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে - এই অভিযোগের যৌক্তিকতা রয়েছে। তবে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য নয়। সাংবাদিকদের মধ্যে এখনও অনেকেই নিরপেক্ষভাবে সংবাদ প্রকাশের জন্য কাজ করছেন।

Powered by Froala Editor

See More

Powered by Froala Editor

স্যাটেলাইট চ্যানেলই যুবসমাজের অবক্ষয়ের মূল কারণ

Powered by Froala Editor

স্যাটেলাইট চ্যানেলই যুবসমাজের অবক্ষয়ের মূল কারণ
 পক্ষে:
 
 স্যাটেলাইট চ্যানেল যুবসমাজের অবক্ষয়ের মূল কারণ, এর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছি।বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অবদান হল স্যাটেলাইট প্রযুক্তি। তাৎক্ষনিকভাবে তথ্য আদান প্রদান, সংবাদ সরবরাহ এমনকি চিত্ত বিনোদনের উগ্র আয়োজনের সাফল্যে গড়ে উঠেছে নতুন এক আকাশ সংস্কৃতি। স্যাটেলাইট আগ্রাসনের কারণে ইউরোপ আমেরিকায় পরিবার প্রথা ভেঙ্গে যাওয়ায় জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে হাজার বছর এগিয়ে গিয়েও ধ্বংসম্মুখ সভ্যতায় পরিণত হতে চলেছে। কিছুকাল আগেও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি উন্নত বিশ্বের অবসর বিনোদনের একান্ত মাধ্যম ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নিজেদেরই তৈরি স্যাটেলাইট চ্যানেল নামক দানবের হাতে বন্দী হয়ে কেঁদেও মুক্তি পাচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে খুন, ধর্ষন, বিকৃত যৌনাচার, আত্মহত্যাা, মাদকাসক্তি এবং অপরাধ সংস্কৃতি তাদের জীবনকে নরকের কুন্ডে পরিণত করেছে। আর এ স্যাটেলাইট সংস্কৃতি মাত্র কয়েক দশকের ব্যবধানে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। এ আগ্রাসনের শিকার আমাদের দেশ, অবক্ষয়ের যাতাকলে আটকে যাচ্ছে আমাদের সম্ভবনাময়ী যুব সমাজ।বিভিন্ন বিদেশি চ্যানেলে ঢালাওভাবে দেখানো হচ্ছে পারিবারিক কলহ,পশ্চিমা ও ভারতীয় সংস্কৃতির আধিক্য,বিভিন্ন রকমের হত্যাকান্ড,সাংসারিক বিবাদ,বিদেশি গান ইত্যাদি।যার ফলে দেশীয় সংস্কৃতির ওপরেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে,যুবসমাজ নিজ সংস্কৃতির অপচর্চা করছে। স্যাটেলাইট আগ্রাসনের কারণে যুব সমাজের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে অপরাধ ও অবৈধ যৌন ক্ষুধার সংস্কৃতি। এতে তারা লিপ্ত হচ্ছে নানা অনাচারে পাপাচারে। ফলে সমাজে খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, পরকিয়া,রেষারেষি,মদ্যপান, উত্যক্ত করাসহ ইত্যাদী অপকর্মগুলো বেড়েই চলছে। এ দেশের অধিকাংশ বাণিজ্যিক সিনেমায় ভারতের সিনেমার কাহিনীই শুধু নকল করা হচ্ছে না, গানের সুর, নাচের মুদ্রা, নায়ক নায়িকাদের পোশাক সবই হিন্দির অনুকরণে হচ্ছে।যুবসমাজের ওপর সিনেমা, টিভি, বিভিন্ন প্রকার সংবাদপত্র, এসবের কুপ্রভাব অত্যন্ত বেশি। তারা অনেক সময় এসব উদ্ভট ও অবাস্তব কাহিনিকে বাস্তব জীবন বলে চালিয়ে দিতে গিয়ে মারাত্মক ভুল করে বসে। অপসংস্কৃতি গ্রাস করছে যুবসমাজকে। বর্তমানে খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, ধর্ষণ এসব কার্যকলাপের মূলে রয়েছে অপসংস্কৃতির প্রভাব। এদেশের সিনেমায় অশ্লীলতাও এসেছে হিন্দির প্রভাবে। এই সকল কারণে আমাদের যুবসমাজ আজ অবক্ষয়ের দ্বারপ্রান্তে।যা রীতিমত আঁতকে উঠার মত। আতংকগ্রস্ত করে তুলেছে দেশের সচেতন নাগরিকদের।
 বিপক্ষে :
 শুধুমাত্র স্যাটেলাইট আগ্রাসনকেই যুবসমাজের অবক্ষয়ের জন্য মূল কারন হিসেবে দায়ী করা যায় না,বরং এর পেছনে আরও অনেক কারণ থাকে।শুধুমাত্র স্যাটেলাইট চ্যানেল ও বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাব গোটা একটি জাতির অবক্ষয়ের মূল কারণ হতে পারে তা আমি মনে করি না।বর্তমানে যুবসমাজের অবক্ষয়ের পেছনে অনেক ব্যাপার সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখে,যেমন:জীবনের আদর্শ ও মূল্যবোধের অভাব, মাদকদ্রব্যের ভূমিকা, বেকারত্ব,শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস,সমাজে অপশাসন, দুর্নীতি এবং অরাজকতা বৃদ্ধি পাওয়া,ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা পদ্ধতি,ভুল পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ,অনলাইনের ঠুনকো আসক্তি,শিক্ষা নিয়ে নিজের ভেতরে অহেতুক দাম্ভিকতা,গেমস খেলায় আসক্তি,মাদক এবং নেশাদ্রব্য।এছাড়া যুবসমাজের অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে আমরা দেখি-ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার, অসৎ সঙ্গ, নগরজীবনের একঘেয়েমি, নির্মল আনন্দ-বিনোদনের অভাব, অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা, মানবিক মূল্যবোধ তৈরির নৈতিক শিক্ষার অভাব ইত্যাদিকে।সুতরাং আমরা বলতে পারি স্যাটেলাইট আগ্রাসনকে যুবসমাজের অবক্ষয়ের মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা যায় না কারণ যুবসমাজের অবক্ষয়ের পেছনে আরও অনেক কারণ থাকে।

Powered by Froala Editor

See More